নারী প্রাঙ্গণ সব সময় নারীদের টেকনোলজি ভিত্তিক কাজে উদ্বুদ্ধ করে। আমরা চাই আমাদের পূর্ব এবং পরের প্রজন্ম আরও বেশী করে টেকনোলজিকে আলিঙ্গন করুন। আমরা যত দ্রুত আইটি জগতে পা রাখতে পারব, তত বেশী লাভবান হতে পারব।
'আমরা নারী, সব পারি!' আমরা চাইলেই ৬-১২ মাসের মধ্যে নীচের যে কোন একটা আইটি-বেইজড স্কিল নিজেদের মধ্যে ডেভেলপ করতে পারি এবং ঘরে - বাইরে কাজ করে ভাল ইনকাম শুরু করতে পারি। মনে রাখতে হবে, নিজে আয় করতে শুরু করা মানেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া। আপনি ঘরে বসে ১০, ২০, ৩০ হাজার কিংবা লক্ষাধিক টাকা আয় করতে সক্ষম মানে হল আপনি স্বাবলম্বী। আপনি আর কারো মুখাপেক্ষী নন। আপনি আর্থিক ভাবে স্বাধীন। ইংরেজি একেই বলে "ফিনানশ্যল ফ্রিডম!" টাকা আয় করতে শুরু করা মানেই আপনি অটোমেটিক্যালি "নিজের ভালোমন্দের সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।" উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট এর যাত্রা এখানেই।
মনে রাখবেন, আপনার একটি আইটি স্কিল থাকা মানে আপনার অভাব, দারিদ্রতা, অসাহায়ত্বতা থেকে চির মুক্তি। আর এটা দিতে পারে যে কোন একটি টেকনোলজিতে দক্ষতা উন্নয়ন। নিজেকে একজন দক্ষ আইটি স্পেশালিষ্ট করে গ্রে তোলার জন্য ৬-১২ মাস প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা সময় দিলে আপনি পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে বসে ভাল আয় করতে পারবেন ।
আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে হাজার হাজার, লক্ষ - কোটি মানুষ এখন ঘরে বসেই আয় করছে। এর জন্য আপনার প্রয়োজন জাস্ট ইচ্ছে শক্তি। মনে রাখবেন, আপনি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগুজে ডিগ্রী আপনার জন্য কাজের এবং আয়ের কোন নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। নিশ্চয়তা দিতে পারবে যে কোন একটা আইটি স্কিল সেট!
এজন্য আপনার আসলে কী কী দরকার?
- প্রবল ইচ্ছে শক্তি
- ইংরেজি পড়তে এবং লিখতে পারা
- ইন্টারনেট কানেকশান
- একটি ল্যাপটপ
ঘরে বসে ৬-১২ মাসের প্রশিক্ষণে কত আয় করা সম্ভব?
আমি বলব 'স্কাই ইজ দ্য লিমিট!' মানে? মানে সীমাহীন! আপনি ৫০০ টাকা থেকে মাসে লক্ষ টাকা কিংবা তারও বেশী আয় করতে পারেন। আপনি যত বেশী দক্ষ হবেন, আন্তর্জাতিক মার্কেট প্ল্যাসে আপনার মূল্য তত বেশী।
কোথায় শিখব?
প্রথমত আমাদের ফেইসবুক পেইজ টি লাইক দিয়ে ৭ দিন ভাল করে দেখে নিন! তারপর আমাদের এই ব্লগটি ভালও করে একবার পড়ে নিন। আবার আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি একবার দেখে নিন। তারপর আমাদের যে কোন একটি ফ্রি প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশান করে ক্লাস শুরু করে দিন। দেখবেন আগামী ৩ মাসে আপনার আইটি স্কিল ধীরে ধীরে ডেভেলপ করছে এবং ফ্রিল্যান্সিং জগত সম্পর্কে আপনার একটা ভাল ধারণা হইয়ে গেছে!
তারপর?
তারপর এবার যেখানে খুশি, দেখে, শুনে, বুঝে টাকা দিয়ে কাজটা ভাল করে শিখে ফেলুন। ততদিনে আপনি কিন্তু কিছু আয় করতে শুরু করে দিয়েছেন! এবার টাকা দিয়ে শিখতে আপনার আর গাইয়ে লাগছে না!
তারপর?
তার আর পড় নেই, নেই কোন ঠিকানা গানের মত এবার শুধু সামনে এগিয়ে চলা। শিখতে থাকুন, শিখতে থাকুন। শেখার কোন শেষ নেই, বয়স নেই!
তারপর?
তারপর এবার একটা লক্ষ্য স্থির করে ফেলুন! যেমন? যেমন হওতে পারে আপনি আগামী ৫ কিংবা ১০ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান? গুগল, নাসা, অ্যাপেল, আমাজন, মাইক্রোসফট, মেটার মত কোন জায়েন্ট কোম্পানির ডেভেলপার? সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার? ডিজিটাল মারকেটার? কিংবা গ্রাফিক ডিজাইনার?
কি বলেন? এও কি সম্ভব?
কেন নয়? যারা ঐ সব জায়েন্ট টেক কোম্পানিতে কাজ করেন তারাও তো আমাদের মত মানুষ, তাই না? নারী, আমরা চাইলেই সব জয় করতে পারি। আমরা হাত বাড়িয়েছি, এবার আমাদের ফেইসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল এবং অন্যান্য সোশাল মিডিয়াতে লাইক আর সাবস্ক্রাইব করে আপনার হাঁটা বাড়িয়ে দিন।
আমাদের যাত্রা শুরু হোক আজ থেকেই। অবশ্যই পারবেন আপনিও। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে, আমাকে পৃথিবীর সেরা জীব হিসেবে জগতে পাঠিয়েছেন একটা নির্দিষ্ট মিশন দিয়ে। আসুন সেটি আবিষ্কার করি।
Comments
Post a Comment